নতুনদের জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি ট্রেডিং-এর একটি সম্পূর্ণ গাইডলাইন - Technical Analysis Basics - Chapter 5



long position কি? (What is long position?)

Long position হল ইনভেস্টমেন্টের একটি ধরন যেখানে ইনভেস্টর কোন স্টক, কমোডিটি বা কারেন্সিতে লাভ করার জন্য সেটি ক্রয় করে। Long position-এর লক্ষ্য হল সম্পদের মূল্য বৃদ্ধির সাথে সাথে লাভ করা। একজন ইনভেস্টর long position নিলে, সে সেই সম্পদটি ক্রয় করে এবং ভবিষ্যতে উচ্চ দামে বিক্রি করে লাভ করতে চায়।

 

 

কয়েকটি উদাহরণ:

 

স্টক মার্কেটে long position: আপনি মনে করেন কোন কোম্পানির শেয়ার দাম বাড়বে। সুতরাং, আপনি সেই কোম্পানির শেয়ার কিনে নেন। শেয়ার দাম যদি বাড়ে, আপনি উচ্চ দামে শেয়ার বিক্রি করে লাভ করবেন।

 

 

কমোডিটি মার্কেটে long position: আপনি মনে করেন কোন কমোডিটির দাম বাড়বে, যেমন সোনা। সুতরাং, আপনি সোনা ক্রয় করে রাখেন। সোনার দাম যদি বাড়ে, আপনি উচ্চ দামে সোনা বিক্রি করে লাভ করবেন।

 

 

কারেন্সি মার্কেটে long position: আপনি মনে করেন ডলারের দাম টাকার সম্পর্কে বাড়বে। সুতরাং, আপনি ডলার ক্রয় করে রাখেন। ডলারের দাম টাকার সম্পর্কে যদি বাড়ে, আপনি ডলার বিক্রি করে টাকায় লাভ করবেন।

 

 

শর্টিং বা shorting কি? ( What is shorting?)


শর্টিং বা shorting হল একধরনের ইনভেস্টমেন্ট স্ট্র্যাটেজি যেখানে ইনভেস্টর কোন স্টক, বন্ড বা কমোডিটিকে উধাও করে বা বেড়ালে ক্রয় করে এবং ভবিষ্যতে কম দামে ফেরত দেয়। শর্টিং-এর লক্ষ্য হল সম্পদের মূল্য হ্রাসের সাথে সাথে লাভ করা। ইনভেস্টর যখন মনে করে কোন সম্পদের দাম কমবে, সে প্রথমে সেটি উধাও করে নেয়, পরে কম দামে ফেরত দিয়ে লাভবান হয়৷

 

 

 

কয়েকটি উদাহরণ:

 

স্টক শর্টিং: আপনি মনে করেন কোন কোম্পানির শেয়ার দাম কমবে। সুতরাং, আপনি প্রথমে সেই কোম্পানির শেয়ার উধাও করে নেন। পরে যখন শেয়ার দাম কমে, আপনি কম দামে শেয়ার ফেরত দিয়ে লাভ করেন।

কমোডিটি শর্টিং: আপনি মনে করেন সোনার দাম কমবে। সুতরাং, আপনি প্রথমে সোনা উধাও করে নেন। পরে যখন সোনার দাম কমে, আপনি কম দামে সোনা ফেরত দিয়ে লাভ করেন।

কারেন্সি শর্টিং: আপনি মনে করেন ডলারের দাম টাকার সম্পর্কে কমবে। সুতরাং, আপনি প্রথমে ডলার উধাও করে নেন। পরে যখন ডলার টাকার সম্পর্কে কমে, আপনি কম দামে ডলার ফেরত দিয়ে টাকায় লাভ করেন।

 

 

Order Book কী? (What is Order Book?)

 

অর্ডার বই বা order book হল একটি ইলেকট্রনিক লিস্ট যা একটি স্টক বা অন্য কোন ফাইনান্সিয়াল ইন্সট্রুমেন্টের জন্য বর্তমান ক্রয় এবং বিক্রয় অর্ডারগুলি ট্র্যাক করে।

 

 

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

 

অর্ডার বইয়ে থাকে বিদ্যমান বাজার অর্ডারগুলি - ক্রয়কারীদের বিড এবং বিক্রেতাদের অফার।

এটি রিয়েল-টাইমে আপডেট হয় এবং দাম এবং ভলিউম পরিবর্তন প্রতিফলিত করে।

অর্ডার বই দেখলে বর্তমান সাপ্লাই এবং ডিমান্ড বুঝা যায় যা ভবিষ্যৎ দাম পূর্বাভাস করতে সাহায্য করে।

ডিপ্থ অফ মার্কেট বা অর্ডার বইয়ের ডিপ্থ দেখায় কতটা ভলিউমে ক্রেতা/বিক্রেতারা ট্রেড করতে ইচ্ছুক।

ট্রেডাররা অর্ডার বই ব্যবহার করে তাদের ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি পরিকল্পনা করতে।

সংক্ষেপে, অর্ডার বই ট্রেডিং-এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

 

 

অর্ডার বইয়ের একটি উদাহরণ দেই:

 

ধরুন একটি কোম্পানির শেয়ারের বর্তমান দাম ১০০ টাকা। অর্ডার বইটি এরকম দেখাবে:

 

 

 

বিড (ক্রয় অর্ডার):

 

১০,০০০ শেয়ার ৯৮ টাকায়

 

৭,০০০ শেয়ার ৯৭ টাকায়

 

৫,০০০ শেয়ার ৯৬ টাকায়

 

অফার (বিক্রয় অর্ডার):

 

 

 

১২,০০০ শেয়ার ১০২ টাকায়

 

৮,০০০ শেয়ার ১০১ টাকায়

 

৬,০০০ শেয়ার ১০০ টাকায়

 

 

 

এটি দেখায় যে ১০০ টাকা ভালুএশনের কাছাকাছি বেশ কিছু ক্রয়-বিক্রয় ইন্টারেস্ট রয়েছে। ট্রেডাররা এই তথ্য ব্যবহার করে তাদের স্ট্র্যাটেজি পরিকল্পনা করতে পারে।

 

 

 

Order Book Depth কি? ( What is Order Book Depth?)

 

অর্ডার বুকের ডেপ্থ বা order book depth হল একটি নির্দিষ্ট মূল্যে অর্ডার বুকে কতটা ভলিউম রয়েছে সেটা। এটি দুটি কাজে ব্যবহৃত হয়:

 

 

 

১. লিকুইডিটি মাপা:

 

অর্ডার বুকের ডেপ্থ বা ভলিউম কত সেটা দেখলে বুঝা যায় সেই মূল্যে কতজন ক্রেতা এবং বিক্রেতা রয়েছে। বেশি ভলিউম মানে বেশি লিকুইডিটি।

 

 

 

২. সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স লেভেল চিহ্নিত করা:

 

ডিপ্থ দেখলে কোন মূল্যে কতজন ক্রেতা/বিক্রেতা রয়েছে সেটা বুঝা যায়। এতে সাপোর্ট এবং রেসিস্ট্যান্স লেভেলগুলো চিহ্নিত করা যায়।

 

 

 

উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দামে অনেক বিক্রয় অর্ডার থাকে, তাহলে সেখানে রেসিস্ট্যান্স লেভেল রয়েছে। আবার যদি একটি দামে অনেক ক্রয় অর্ডার থাকে, তাহলে সেখানে সাপোর্ট লেভেল রয়েছে।

 

 

 

সংক্ষেপে, অর্ডার বুক ডেপ্থ ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে।

 

 

 

অর্ডার বুক ডেপ্থের একটি উদাহরণ দেই:

 

 

 

ধরুন একটি শেয়ারের বর্তমান দাম 100 টাকা। অর্ডার বুকের ডেপ্থ নিম্নরূপ:

 

 

 

ক্রয় অর্ডার:

 

95 টাকা - 50,000 শেয়ার

 

96 টাকা - 40,000 শেয়ার

 

97 টাকা - 30,000 শেয়ার

 

98 টাকা - 20,000 শেয়ার

 

99 টাকা - 10,000 শেয়ার

 

 

 

বিক্রয় অর্ডার:

 

101 টাকা - 15,000 শেয়ার

 

102 টাকা - 10,000 শেয়ার

 

103 টাকা - 5,000 শেয়ার

 

104 টাকা - 2,000 শেয়ার

 

 

 

এখানে দেখা যাচ্ছে 95-99 টাকা পর্যন্ত বড় পরিমাণ ক্রয় অর্ডার রয়েছে। এটি সাপোর্ট লেভেলকে ইঙ্গিত করে। আবার 101-104 টাকায় বিক্রয় অর্ডার কম, যা রেসিস্ট্যান্স বোঝায়।

 

 

 

Market Order কি? ( What is Market Order?)

 

মার্কেট অর্ডার বা মার্কেট প্রাইস অর্ডার হল একধরনের ট্রেড অর্ডার যাতে শেয়ার বা অন্যান্য স্কিউরিটি ক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য বর্তমান মার্কেট দামের উপর নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

 

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

 

মার্কেট অর্ডারে কোন নির্দিষ্ট দাম উল্লেখ করা হয় না, শুধু বলা হয় যে বর্তমান মার্কেট দামে ট্রেড করা হোক।

এটি এক্সিকিউশন দ্রুত হওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয় কারণ কোন দাম নির্ধারণ লাগে না।

মার্কেট অর্ডারের ঝুঁকি হল প্রাপ্ত দাম অপেক্ষাকৃত ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা।

লিমিট অর্ডারের তুলনায় এর প্রাপ্তির নিশ্চয়তা বেশি কারণ মার্কেট দামেই এক্সিকিউট করা হয়।

ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত দাম ভিন্ন হতে পারে মার্কেট অর্ডারের ক্ষেত্রে।

সংক্ষেপে, মার্কেট অর্ডার দ্রুত এক্সিকিউশন প্রদান করে তবে প্রাপ্ত দাম নিয়ে নিশ্চিততা দেয় না।

 

 

মার্কেট অর্ডারের একটি উদাহরণ দেই:

 

আসুন ধরুন একটি কোম্পানির শেয়ারের বর্তমান মার্কেট দাম ১০০ টাকা।

 

এখন আপনি সেই শেয়ার ১০০০টি কিনতে চান মার্কেট প্রাইসে। সুতরাং আপনি আপনার ব্রোকারকে একটি মার্কেট অর্ডার দেবেন ১০০০ শেয়ার ক্রয়ের জন্য।

 

আপনার অর্ডার এক্সিকিউট হওয়ার সময় যদি মার্কেট দাম ১০৫ টাকা হয়ে থাকে, তাহলে আপনার অর্ডারের এক্সিকিউশন ১০৫ টাকায় হবে।

 

 

 

সুতরাং আপনি প্রতি শেয়ার ১০৫ টাকা করে মোট ১,০৫,০০০ টাকায় সেই ১০০০টি শেয়ার ক্রয় করবেন।

 

 

 

slippage কি? (What is slippage?)

 

ট্রেডিং-এ slippage হল একটি অর্ডার এক্সিকিউট করার সময় যে পার্থক্য দেখা দেয় ইনভেস্টর যে দামটি প্রত্যাশা করেছিল এবং যে দামটি পেয়েছে সে দামের মধ্যে।

 

 

 

কিছু কারণ যার ফলে slippage হতে পারে:

 

 

 

মার্কেট ভলাটিলিটিঃ অর্ডার প্লেস করার সময় এবং এক্সিকিউট হওয়ার সময় মধ্যে দাম পরিবর্তন হয়।

লিকুইডিটির অভাবঃ যদি মার্কেটে পর্যাপ্ত লিকুইডিটি না থাকে তাহলে প্রত্যাশিত দামে অর্ডার পূরণ করা কঠিন।

ভিন্ন বাজারঃ যদি অর্ডারটি একটি বাজার থেকে প্লেস করা হয় কিন্তু অন্য বাজার থেকে এক্সিকিউট হয় তাহলেও slippage হতে পারে।

উচ্চ ভলিউম ট্রেডিংঃ বেশি অর্ডার ভলিউমে slippage-এর সম্ভাবনা বেশি।

ট্রেডাররা সাধারণত slippage এড়াতে লিমিট অর্ডার ব্যবহার করে থাকেন।

 

 

slippage-এর একটি উদাহরণ দেই:

 

 

 

ধরুন আপনি একটি শেয়ার ক্রয়ের জন্য একটি মার্কেট অর্ডার দিয়েছেন 100 টাকায়। যেহেতু এটি একটি মার্কেট অর্ডার, সুতরাং এটি বর্তমান মার্কেট দামে এক্সিকিউট হবে। কিন্তু আপনার অর্ডার এক্সিকিউট হওয়ার সময়, মার্কেট দাম আর 100 টাকা নয়, বরং 105 টাকায় উঠে গিয়েছে। সুতরাং আপনার অর্ডার 105 টাকা প্রতি শেয়ারে এক্সিকিউট হয়। আসলে আপনি 100 টাকা প্রতি শেয়ার প্রত্যাশা করেছিলেন।

 

সুতরাং, আপনার প্রত্যাশিত দাম এবং যে দামে অর্ডারটি এক্সিকিউট হয়েছে সে দামের মধ্যে 5 টাকা পার্থক্য হয়েছে। এটাই হল slippage।

 

 

 

 

 

limit order কি? (What is limit order?)

 

Limit order হল একধরনের ট্রেড অর্ডার যেখানে ক্রেতা বা বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট দামের জন্য অর্ডার প্লেস করেন।

 

 

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:

 

Limit order-এ একটি নির্দিষ্ট দাম থাকে যেটিকে "limit price" বলা হয়।

ক্রেতারা limit order দিয়ে নির্দিষ্ট দামের নিচে ক্রয় করতে পারেন।

বিক্রেতারা limit order দিয়ে নির্দিষ্ট দামের উপরে বিক্রয় করতে পারেন।

Limit order শুধু নির্দিষ্ট দামে বা তার ভালো দামে মেটানো হয়।

এটি বাজারের ভলেটিলিটি থেকে সুরক্ষা দেয় কিন্তু এক্সিকিউশনের নিশ্চয়তা দেয় না।

সংক্ষেপে, limit order দিয়ে ট্রেডাররা নির্দিষ্ট দামে ট্রেড করতে পারেন।

 

limit order এর একটি উদাহরণ দেই:

 

ধরুন একটি কোম্পানির শেয়ারের বর্তমান মার্কেট দাম 100 টাকা। আপনি মনে করেন যে শেয়ারটির দাম কমে যাবে। সুতরাং, আপনি 95 টাকার নিচে ক্রয় করতে চান। এজন্য আপনি একটি লিমিট অর্ডার প্লেস করবেন 95 টাকায় 1000 শেয়ার ক্রয়ের জন্য।

 

 

 

এখন দুটি ঘটনা ঘটতে পারে:

 

যদি শেয়ার দাম 95 বা তার চেয়ে কম হয়, তাহলে আপনার অর্ডার এক্সিকিউট হবে।

যদি শেয়ার দাম 95 টাকার উপরে থাকে, তাহলে আপনার অর্ডার এক্সিকিউট হবে না।

এভাবে লিমিট অর্ডার দিয়ে আপনি নির্দিষ্ট দামে ট্রেড করতে পারেন।

 

 

Stop-loss order কি?

 

Stop-loss order হল একধরনের অর্ডার যা ইনভেস্টরদের ক্ষতি সীমিত রাখতে সাহায্য করে। এটি কাজ করে নিম্নরূপ:

 

 

 

ইনভেস্টর একটি নির্দিষ্ট "স্টপ প্রাইস" সেট করেন।

যদি সেই সম্পদের মূল্য স্টপ প্রাইস অতিক্রম করে, তাহলে অর্ডার ট্রিগার হয়।

তখন সেই সম্পদ অটোমেটিকভাবে মার্কেটে বিক্রি হয়ে যায়, যাতে আরও বেশি ক্ষতি এড়ানো যায়।

এতে ক্ষতি সীমিত থাকে কারণ ইনভেস্টর পূর্ব-নির্ধারিত স্টপ প্রাইসে বিক্রি হয়ে যায়।

এটি মার্কেট ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেয়।

সুতরাং, স্টপ-লস অর্ডার দিয়ে ট্রেডাররা তাদের ক্ষতি সীমিত করতে পারেন।

 

 

স্টপ-লস অর্ডারের একটি উদাহরণ দেই:

 

আসুন ধরুন আপনি ABC কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন 100 টাকায় প্রতি শেয়ার। আপনি চান না শেয়ারটির দাম 90 টাকার নিচে নেমে আসুক। সুতরাং, আপনি 90 টাকা হিসেবে আপনার স্টপ প্রাইস সেট করেন।

 

 

 

এখন দুটি ঘটনা ঘটতে পারে:

 

যদি শেয়ার দাম 90 টাকার উপরে থাকে, আপনার শেয়ারগুলি বিক্রি হবে না।

যদি শেয়ার দাম 89 টাকায় নেমে আসে, আপনার স্টপ-লস অর্ডার ট্রিগার হবে এবং শেয়ারগুলি অটোমেটিকভাবে 89 টাকায় বিক্রি হয়ে যাবে।

এভাবে আপনার ক্ষতি শুধুমাত্র 11 টাকা প্রতি শেয়ার, যা স্টপ প্রাইসের চেয়ে কম। স্টপ-লস অর্ডার আপনাকে বেশি ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে।

 

 

 

 

 

Makers and Takers কি?

 

ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে makers এবং takers এর অর্থ নিম্নরূপ:

 

 

 

Makers:

 

যারা ট্রেডিং-এর মাধ্যমে লাভ/উপার্জন করে। যেমন - ইনভেস্টর, ট্রেডার, মার্কেট মেকার। তারা বাজারের প্রবণতা বিশ্লেষণ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং লাভ করে।

 

 

 

Takers:

 

যারা ট্রেডিং-এ লাভ করে না, বরং ঘাটতি হয়। যেমন - অভিজ্ঞ/অনভিজ্ঞ ট্রেডার, ভুল বিশ্লেষণকারী, হাই রিস্ক ট্রেডার। তারা বাজার বুঝতে পারে না বা ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

 

 

 

সারাংশে, ট্রেডিং-এ যারা লাভ করে তারা makers এবং যারা লাভ করতে পারে না তারা takers।

 

 

 

ট্রেডিং-এ makers এবং takers এর কিছু উদাহরণ:

 

 

 

Makers:

 

অভিজ্ঞ ইনভেস্টর যিনি ফান্ডামেন্টাল বিশ্লেষণ করে সঠিক স্টক বেছে নেন এবং লাভ করেন।

দক্ষ ট্রেডার যিনি টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস ব্যবহার করে সঠিক সময়ে বাজারে প্রবেশ ও প্রস্থান করে লাভ করেন।

মার্কেট মেকার যিনি দারুণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাজারের প্রবণতা এবং সেন্টিমেন্ট বুঝে লাভ করেন।

 

 

Takers:

 

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারী যিনি পর্যাপ্ত গবেষণা ছাড়াই উচ্চঝুঁকিপূর্ণ ট্রেডিং করে ঘাটতিতে পড়েন।

এমোশনাল ট্রেডার যিনি ভাবমূর্তির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করে ঘাটতিতে পড়েন।

অনভিজ্ঞ ট্রেডার যিনি টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ ছাড়াই অনুমানের ভিত্তিতে ট্রেডিং করে লাভ করতে পারেন না।

এভাবে বিভিন্ন কারণে takers হিসেবে ট্রেডিং-এ ঘাটতি খায়।

 

 

bid-ask spread কি?

 

Bid-ask spread হল কোন পণ্য, স্টক বা মুদ্রার ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের মধ্যে যে পার্থক্য থাকে। ক্রেতা যে দামে ক্রয়ের জন্য প্রস্তাব করে তাকে Bid Price বলে। অন্যদিকে, বিক্রেতা যে দামে বিক্রয়ের জন্য চায় তাকে Ask Price বলে। Bid price এবং Ask price এর মধ্যবর্তী পার্থক্যকেই Bid-Ask Spread বলা হয়। এটি সাধারণত শতকরা হারে প্রকাশ করা হয়।

 

 

 

Bid-ask spread এর একটি উদাহরণ দেওয়া হল:

 

 

 

ধরুন একটি শেয়ারের বর্তমান বাজার মূল্য:

 

Bid Price: ৳490

 

Ask Price: ৳500

 

 

 

এখানে,

 

Bid Price = ৳490

 

Ask Price = ৳500

 

 

 

Spread = Ask Price - Bid Price

 

= ৳500 - ৳490

 

= ৳10

 

 

 

শতকরা হারে প্রকাশ করলে:

 

 

 

Spread% = (Spread/Ask Price) x 100

 

= (10/500) x 100

 

= 2%

 

 

 

সুতরাং, এই উদাহরণে শেয়ারের Bid-ask spread হলো 2%।

 

 

 

candlestick chart কি?

 

Candlestick chart হল ফিনাঞ্চিয়াল মার্কেটকে উপস্থাপনের একটি পদ্ধতি যেখানে প্রতিটি ক্যান্ডলস্টিক একটি নির্দিষ্ট সময়কালের মূল্য পরিবর্তনকে প্রদর্শন করে।

 

 

 

প্রতিটি ক্যান্ডলস্টিকে চারটি উপাদান থাকে:

 

Open Price - যে দামে শেয়ার ট্রেডিং শুরু হয়েছিল।

Close Price - যে দামে শেয়ার ট্রেডিং শেষ হয়েছিল।

High Price - সেই সময়কালে শেয়ারের সর্বোচ্চ মূল্য।

Low Price - সেই সময়কালে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য।

এছাড়া রং ব্যবহার করে বোঝানো হয় শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে না কি হ্রাস পেয়েছে।

 

 

 

ক্যান্ডলস্টিক চার্টের একটি উদাহরণ:

 

এখানে,

 

Open Price: $10

Close Price: $12

High Price: $15

Low Price: $9

 

 

চার্টটি দেখে বোঝা যাচ্ছে:

 

শেয়ারটি $10 এ খোলা হয়েছিল।

$15 পর্যন্ত উঠেছিল, যা ছিল সেদিনের হাই।

$9 পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল, যা ছিল সেদিনের লো।

শেষ মূল্য ছিল $12, অর্থাৎ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সাদা রঙের ক্যান্ডলস্টিকটি তা প্রমাণ করে।

এভাবে ক্যান্ডলস্টিক চার্ট থেকে এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।

 

 

candlestick chart pattern কি?

 

Candlestick chart pattern বলতে ক্যান্ডলস্টিক চার্টে ক্যান্ডলস্টিক্সগুলোর নির্দিষ্টভাবে গঠনকে বোঝায়। এগুলো থেকে বাজারের প্রবণতা এবং সম্ভাব্য ভবিষ্যত গতিপ্রকাশ করা যায়।

 

 

 

কিছু গুরুত্বপূর্ণ candlestick pattern:

 

Bullish Engulfing - বৃদ্ধির ইঙ্গিত

Bearish Engulfing - হ্রাসের ইঙ্গিত

Hammer - বৃদ্ধির সম্ভাবনা

Shooting Star - হ্রাসের সম্ভাবনা

Doji - অস্থিরতার ইঙ্গিত

 

এগুলো বুঝে ট্রেডাররা সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়।

 

 

 

Candlestick pattern এর উদাহরণ হিসেবে বুলিশ ইঙ্গালফিং প্যাটার্নটি দেখা যেতে পারে:

 

এখানে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ক্যান্ডলস্টিকটি ছোট এবং লাল রঙের অর্থাৎ ওপেন ও ক্লোজ প্রাইস হ্রাসকারী। কিন্তু পরবর্তী ক্যান্ডলস্টিকটি বড় এবং সাদা রঙের অর্থাৎ ওপেন ও ক্লোজ প্রাইস বৃদ্ধিকারী।

 

 

 

এটি বুলিশ ইঙ্গালফিং প্যাটার্ন যা মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতার ইঙ্গিত দেয়।

 

 

 

ট্রেন্ড লাইন কি (What is the trend line?)

 

ট্রেন্ড লাইন (Trend Line) হল টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে ব্যবহৃত একটি চার্টিং টুল। এর কাজ হল শেয়ার বাজার, কমডিটি মার্কেট বা ফরেক্স মার্কেটের দিকনির্দেশক প্রবণতাকে চিহ্নিত করা। ট্রেন্ড লাইন হচ্ছে চার্টে দুইটি স্বল্প হাই/লো-কে সংযুক্ত করা রেখা। এটি একটি অবধি বজায় থাকে এবং এর ভিত্তিতে ভবিষ্যত প্রবণতা অনুমান করা হয়।

 

 

 

ট্রেন্ড লাইন দুই প্রকারের হতে পারে - আপট্রেন্ড লাইন এবং ডাউনট্রেন্ড লাইন।

 

 

 

উদাহরণ হিসেবে যদি বলিঃ

 

এখানে দেখা যাচ্ছে, দুটি স্বল্প হাইয়ের সংযোগ দিয়ে একটি আপট্রেন্ড লাইন গঠিত হয়েছে। চার্টের মূল্যায়নগুলো এই লাইনের উপরের দিকে থেকে গিয়েছে। এটি মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা চিহ্নিত করে। সুতরাং ট্রেন্ড লাইন দিয়ে ভবিষ্যত মূল্য পরিবর্তনের প্রবণতা অনুমান করা যায়।

 

 

 

support and resistance কি?

 

Support এবং Resistance হল টেকনিক্যাল অ্যানালিসিসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা।

 

 

 

Support:

 

এটি হল এমন একটি মূল্য স্তর যেখানে শেয়ারের মূল্য হ্রাস হলেও সেখান থেকে নিচে নামে না।

 

ক্রেতারা এই মূল্যে শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহী হন যা মূল্য হ্রাস করে না।

 

এক্ষেত্রে ডিমান্ড সাপ্লাইকে প্রতিরোধ করে।

 

 

 

Resistance:

 

এটি হল এমন একটি মূল্য স্তর যেখান থেকে উপরে মূল্য বৃদ্ধি হলেও সেখানে আটকে যায়।

 

বিক্রেতারা এই মূল্যে শেয়ার বিক্রিতে আগ্রহী হন।

 

এক্ষেত্রে সাপ্লাই ডিমান্ডকে প্রতিরোধ করে।

 

এগুলো ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন।

 

 

 

উদাহরণঃ

 

চার্টটিতে দেখা যাচ্ছে মূল্য প্রায়শই $26 এর স্তরে আটকে থাকছে। সুতরাং $26 টা এখানে Resistance হিসেবে কাজ করছে। অন্যদিকে, মূল্য প্রায়শই $22 এর নীচে নেমে আসছে না। সুতরাং $22টা Support হিসেবে কাজ করছে। এভাবে Resistance ও Support পর্যালোচনা করে ট্রেডাররা সিদ্ধান্ত নেন।

 

 






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url